Monday 20 February 2017

সকাল বেলায় ভুল হলে সারাদিনই ভুল হয় কেন?

আশ্চর্য জনক মনে হলেও সত্যিই
সকালে ভুল হলে সারাদিন ভুল হয়।
কিন্তু কেন?
আমরা সাধারণত ভুল করি মনের
অস্থিরতা বা অন্যমনস্কতার জন্য। মন
বিশ্রাম পেলে মনের একাগ্রতা বাড়ে।
ফলে ভুল ও কম হয়। এখন আমরা
যখন সকালে ঘুম থেকে উঠি, তখন
স্বভাবতই আমাদের মন থাকে ধীর,স্থির
ও উদ্যমী। কারণ দিনের সমস্ত শ্রান্তি,
ক্লান্তি দূর হয়ে যায় রাত্রির ঘুমে। ফলে
সকালের দিকে ভুল হওয়ার সম্ভবনাও
প্রায় থাকে না বললেই চলে।

কিন্তু সকালের দিকেই যদি ভুল হয় তবে
জানতে হবে যে সারারাত্রির ঘুমের পরেও
মন শান্ত বা স্থির হয় নি। ফলে ভুল
হচ্ছে। আর যেহেতু সারারাত্রির বিশ্রামেও
মন শান্ত হয় নি। সেজন্য সারাদিনেও মন
শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ফলে
সারাদিন ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Sunday 19 February 2017

বাচ্চাদের প্রস্বাব করানোর সময় হিস হিস শব্দ কেন করা হয়?

 বিগ ব্যাং থিয়োরি এর একটা পর্ব দেখার পর আমারও একই প্রশ্ন ছিল যেখানে পেনি 'waterworks' বলার পর শেলডন টয়লেট এর দিকে ছুটে যায়। (অনুরাগী না হলে গুরুত্বপূর্ণ নয়)।
কেবল বাচ্চাদের নয়, কিছু শব্দ যেমন ঝড়বৃষ্টি, জলপ্রপাত, চলমান জলের শব্দ প্রভৃতি বড়দের মধ্যেও প্রস্বাব করার ইচ্ছে তৈরি করে। কিছু বছর আগে একজন রাশিয়ান বিজ্ঞানী প্যাভলভ তার কুকুরের ওপর পরীক্ষা দ্বারা এই আচরণ পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেন। আমরা এটা জানি যে, যেকোনো কুকুরকে মাংসের টুকরা খাওয়ালে তার মুখে প্রচুর লালা ঝরে। প্যাভলভ তার পরীক্ষায় কুকুরটিকে একটি ঘণ্টা বাজানোর পর খেতে দেয়। কিছুদিন পর ঘন্টাধ্বনি শুনলে স্বকীয় ভাবেই কুকুরটির লালা ক্ষরণ হতে শুরু করে। এই পরীক্ষা থেকে তিনি এই সিদ্ধান্তে আসেন যে স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়ায় (প্রতিবর্ত ক্রিয়া যা স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা অচেতন অবস্থায় ঘটে ) বহিঃ উদ্দীপনা দ্বারা আলোড়ন ঘটানো সম্ভব। কিছু মানুষের অন্য মানুষকে প্রস্বাব করতে দেখলে প্রস্বাব অনুভূতিরর সৃষ্টি হয়। এই অচেতন প্রক্রিয়া মানুষের উপর সব সময় ঘটে। বহু মনোবিজ্ঞানী এবং ইউরোলোজিস্ট ও পরে এই তত্ত্বে সহমত হন।
 বাবা-মা'রা সশশশশশ, চলমান জলের শব্দ প্রভৃতি বাচ্চাদের মলত্যাগের প্রশিক্ষণে ব্যাবহার করেন। HISS হল প্রস্বাবের অনুকার শব্দ।

Saturday 18 February 2017

মেয়েদের জিন্স প্যান্টে চেন কেন থাকে?

জিন্স প্যান্ট বা প্যান্ট গুলোতে যে চেন থাকে তার
কাজ শুধু মূত্রত্যাগে সাহায্য করা তা নয়, চেন খোলা থাকলে প্যান্ট পরার সময় প্যান্টের কোমরের পরিধি একটু বৃদ্ধি পায়। তাই প্যান্ট পরার সুবিধার্থে ছেলে মেয়ে সবার জিন্স প্যান্টেই
চেন লাগানো হয়। এই যুক্তিটি যদি অসংগত মনে
হয় তাহলে একবার প্যান্টের চেন লাগিয়ে প্যান্ট
পরার চেষ্টা করুন।

সব ভূত ই সাদা কাপড় পরে কেন?

প্রথমে ভূত আছে কিনা সেটাই একটা বিতর্কিত বিষয়।
যাক সে কথায় যাব না, কথা হল এই যে সিনেমা বা
গল্প যেখানেই ভূতের কথা আসে ভূত সাদা শাড়ি বা
কাপড় পরে থাকে। শুধু সাদা কাপড় ই কেন?
আসলে কয়েকশো বছর ধরে ভূতদের সাদা কাপড়
দিয়েই বর্ণনা করা হয়। কারণ প্রাচীন কাল থেকেই
মৃতদেহ যখন কাফন বন্দি বা সমাধিস্থ করা হয়
তখন মৃতদেহের গায়ে সাদা কাপড় জড়ানো হত, তাই
যেহেতু মৃত্যুর পরে মানুষটির উপর শুধু সাদা কাপড়
জড়ানো ছিল তাই সেই মানুষটি যদি ভূত হয়ে কোনোদিন
ফিরে আসে তাহলে সে সেই সাদা কাপড় পরেই ফিরে
আসবে এই ধারনা তখনকার মানুষের মনে জন্মায়।
তাই প্রাচীন কাল থেকেই ভূতেদের সাদা কাপড় পরে
বর্ণনা করা হয়। তাই হয়তো এই একই কারণে এখনো অনেকে সাদা কাপড় পরেই ভূত দেখে।
আদৌ কী ভূত দেখতে পাওয়া যায়? #ভাবার বিষয় 😝 মৃতদেহটি লাল কাপড় দিয়ে জড়িয়ে সমাধিস্থ
করলে কী ভূত লাল কাপড় পরে আসবে? #ভাবার বিষয় 😛

কুকুর বিড়ালের কান্নাতে অমঙ্গল হয় কেন?

আমরা সবাই জানি, কুকুর,বিড়াল বা অন্যান্য বহু
পশুপাখির শ্রবণশক্তি, ঘ্রাণশক্তি বা দৃষ্টিশক্তি
মানুষের তুলনায় অনেক বেশী। এই ঘ্রাণশক্তির
সাহায্যেই কুকুর অপরাধী কে শনাক্ত করতে পারে।
বাদুড় অন্ধকারেও দিব্যি খাবার সংগ্রহ করতে
পারে বা শকুনীরা দূর আকাশ থেকেও নীচের
খাবার লক্ষ্য করতে পারে।

বিজ্ঞানীরা আরও দেখেছেন ভূমিকম্প বা
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে ভূ-চৌম্বকত্ব
বা বায়ুমন্ডলের যে পরিবর্তন হয়, তা
সহজেই বুনো পশুপাখিদের উপলব্ধিতে
আসে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়
তাদের মধ্যে এক ধরনের চাঞ্চল্য লক্ষ্য
করা যায়। পাখিরা খাঁচা ভেঙে ফেলার
চেষ্টা করে। পশুরা বন ছেড়ে পালাতে
থাকে। কুকুর বিড়ালরা কাঁদতে থাকে।

তাই বলা যায় কুকুর বিড়ালের অস্বাভাবিক
ধরনের কান্না কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের
ইঙ্গিত বহন করে। সুতরাং এই প্রথা সম্পূর্ণ
অবৈজ্ঞানিক নয়।